প্রতিধ্বনি -আব্দুল্লাহ আল মামুন

  

অবশেষে শুনি,হাওয়ার প্রতিধ্বনি,

কি নিদারুণ আকুতি সভ্যতার!

কি মর্মভেদী দৃষ্টিবাণ সময়ের!

কি স্পর্শকাতর উপলব্ধি আদম মানবের!

সর্বপ্রাচীন আকাশের বুকে জমে থাকা সভ্যতা

বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে পরিত্যক্ত নগরীর বারান্দায়,

ঘড়ির কাটায় নিবদ্ধ এক মহাকাল সময়

উপলব্ধির জীবনে নেমে আসে চাহিদার কশাঘাত।

সভ্যতা,সময় ও উপলব্ধি ফিকে হয়

মানবের চাহিদা পূরণ হয়,

তবুও স্বস্তির মুখ দেখা না হয়,

স্বস্তিরা সব অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে নতুন আবেদনের ভিড়ে,

দুরন্তর পথে নিরন্তর ছুটে চলার এক অক্লান্ত অবিশ্রান্ত প্রয়াসে,

মেকি ছলনার ক্ষণিক ক্ষেপনে সময়ও বিষণ্ণ হয়,

তাকে নিয়ে আরও দ্রুত,আরও বেগে,আরও ছুটে চলার এক অসম্ভব প্রার্থনা সময়ের,সময়ের এ প্রার্থনা কার দরবারে?

আমার না ঈশ্বরের?


প্রতিধ্বনিরা জোড়ালো হয়,

সভ্যতার হাওয়ায় জমে থাকা অর্বাচীন শিশিরবিন্দু থেকে সমুদ্র,

পরিত্যক্ত মাঠের বুনোঘাস থেকে আমাজন,

সকলেই জেগে থাকে,

বারংবার শুধু মৃত্যু হয় প্রকৃতির প্রতিবাদী প্রতিধ্বনির,
উপলব্ধির দাবি যখন আরও সূক্ষ্ম,

আদম সন্তানের জীবনবিলাস আরও স্থুল হয়,

বোধ,বধ হয় স্থুলকায় পদপিষ্টে,

গতি মন্থর,শ্লথ মানবের জীবন মোহাবিষ্ট,
শুধু  বেঁচে থাকে প্রাচীন হাওয়া,

এক সভ্যতা সাক্ষী,মহাকালের যাত্রী ও উপলব্ধির বাহক হয়ে,

বশেষে প্রকৃতির বুকে কান পেতে শুনি,হাওয়ার প্রতিধ্বনি।

নবীনতর পূর্বতন